Thursday, September 18, 2014
Friday, September 12, 2014
আখিরাতের জন্য পরিকল্পনা করা
আখিরাতের জন্য পরিকল্পনা করা
জানেন, আমরা এটা থেকে কি শিখলাম? কোন কিছুকে বড় করে দেখলেই সেটা বড় ব্যাপার হয়ে যায়। কোন কিছুকে ছোট করে দেখ তাহলেই সেটা সামান্য মনে হবে। জানেন, এই আয়াতে আখিরাতকে বড় এবং দুনিয়াকে ছোট করে দেখানো হয়েছে।পুরো আয়াতটা এটা নিয়েই।
See this video: (2 click)
দুনিয়াতে আমরা জীবন যাপন করবো। আমাদের ক্যারিয়ার হবে।আমাদের শিক্ষাগত অর্জন থাকবে।আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এই সব কিছুই জীবনে থাকবে।কিন্তু একটা ব্যাপার কি জানো এই সব কিছু ক্ষণস্থায়ী। সব কিছুই। একদিন আসবে যেদিন এক জমায়েত হবে।এবং সেদিন তারা নামায পড়বে। আর সেদিন তারা একটা ঘোষণা দিবে।যে একটা জানাযা হবে। এবং এই ঘোষণাটা একদিন হবে আমার জন্য এবং একদিন হবে আপনার জন্য।
এটা হতে যাচ্ছে এবং একদিন মানুষ আমাদের জন্য জানাজার নামায পড়বে। এবং ততক্ষনে আমরা চিরকালের জন্য চলে গেছি। এবং এটা শীঘ্রই ঘটবে, দেরীতে নয়।
আমি বলতে চাচ্ছি আমাদের জীবনের অনেকখানি তো ইতোমধ্যেই কেটে গেছে। সুতরাং এমন নয় যে সেই দিনটা থেকে আমরা দূরে যাচ্ছি, বরং আমরা সেই দিনের আরো কাছে পৌছাচ্ছি।
তাই যত তাড়াতাড়ি আমরা এটা আত্মস্থ করি যে, আল্লাহর কাছে যা আছে তা তুলনামূলক ভাবে ভালো। কারন যে কোন ভাবেই হোকনা কেন আমরা সেদিকেই যাচ্ছি। তাহলে আমরা নিজেরা নিজেদেরই উপকার করব । যদি আমরা শুধু এটা শিখতে পারি যে কিভাবে সময়ের সদ্ব্যবহার করতে হয়। যেমনটা আমি বললাম যে আমরা ১০ বছরের পরিকল্পনা করি, ১৫ বছরের পরিকল্পনা করি।কিন্তু আমরা আখিরাতের কথা চিন্তাই করিনা। তাহলে আখিরাতের কথা কিভাবে ভাবা উচিত? কিভাবে আখিরাতের জন্য বাস্তবতা ভিত্তিক পরিকল্পনা করা যায়? আখিরাতের জন্য আমরা ১০ বছরব্যাপী, ১৫ বছরব্যাপী পরিকল্পনা করিনা।
আমরা এর জন্য দৈনন্দিন পরিকল্পনা করি। এটা দীর্ঘ সময়ব্যাপী লক্ষ্য নির্ধারণ করা নয়। এটা আজকের দিনটা আপনি কিভাবে ব্যয় করলেন তার সাথে সংশ্লিষ্ট। আপনি তার পরে কি করতে যাচ্ছেন এটা তার সাথে সংশ্লিষ্ট।
আপনি আগামীকালটা কিভাবে কাটাবেন?
আপনি কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
আপনি আপনার অবসর সময়ে কি করবেন?
আপনি কবে আপনার ফোন থেকে ঐ অকাজের গেমগুলো মুছে ফেলবেন?
কবে আপনি এত বেশিক্ষন টিভি দেখা বন্ধ করবেন?
কবে বন্ধ করবেন এসব?
আপনি কবে সময় নষ্ট করা বন্ধ করবেন, শুধু চ্যাট করে বা ট্রল করে।
কবে বন্ধ করবেন?
যদি আজকে না হয়, তবে কবে আপনি আপনার জন্য একটি উচ্চতর মান বজায় রাখবেন। আপনি যদি দিনের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন না আনেন। আপনি কখন ঘুমাতে যাবেন, কখন ঘুম থেকে উঠবেন। আপনি যা বলেন এবং আপনি যা করেন। বিশেষত আপনি যেটাকে অবসর সময় বলে মনে করেন সেটাকে কিভাবে ব্যয় করেন। কারন এটা বিনামূল্য নয়। আপনি এখন এটার জন্য কোন মূল্য দিচ্ছেননা, কিন্তু আপনাকে এবং আমাকে আল্লাহর কাছে এর হিসাব দিতে হবে। আমাদেরকে এর জবাবদিহীতা করতে হবে। এই সময়েরও দাম আছে।
আমাদের হয়তো খেয়াল থাকেনা যে আমাদেরকে এর জন্য মূল্য দিতে হবে, কিন্তু এর হিসাব রাখা হচ্ছে। আপনারা তো জানেন মানুষ যখন ঘড়ির কাঁটা ধরে না চলে তখন তারা কেমন হালকা মেজাজে থাকে। যখন তারা অফিস থেকে বের হয়। কিন্তু ফেরেশতারা ঘড়ি ধরে আমাদের সব সময়ের হিসাব রাখছে। তারা কোন বিরতি নেয়না। এবং যখন তারা বিরতি নেয় তখন তারা অন্যদের তাঁদের দায়িত্ব দিয়ে যায়। জানেন এটা এ কারনেই আমাদের প্রতিদিনের জন্য পরিকল্পনা করতে হবে। তাই কেননা আমরা নিজেদের কাছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি করি । এটা আর কাউকে জানানোর জন্য নয়। এটা শুধু আপনিই জানবেন।
এব্যাপারে আপনি নিজেই আপনার সবচেয়ে কঠিন সমালোচক । আপনাকে আর আমাকেই ঠিক করতে হবে আমরা কিভাবে ভিন্ন রকম জীবনযাপন করব। কারন আল্লাহ্র কসম যে মুহূর্তে আমরা বলতে শুরু করবো ...যে আমি তো বেশ ভালোই করছি। আমার জীবনে পরিবর্তন করার কিছু নাই। এটাতো বিভ্রম। অন্য কোন মানুষ হয়তোবা আপনাকে নিজের ব্যাপারে ভুল ধারণা দিয়েছে। তারা আপনাকে দীর্ঘদিন অন্ধকারে রেখেছে। তারা চোখে এতো ধূলা দিয়েছে যে এখন আপনি নিজে কি সেটাও বুঝতে পারেননা।
অনুবাদ করে দিয়েছেনঃ নাশিদ বিনতে তৌহিদ
Thursday, September 11, 2014
Quantum Physicist Robert Lanza Proves There Is an Afterlife [Video]
Quantum Physicist Robert Lanza Proves There Is an Afterlife [Video]
by Alex Lemieux on February 17, 2014.
Saved under Metaphysical, Quantum Physics, Science
Saved under Metaphysical, Quantum Physics, Science
Quantum Physicist Robert Lanza has
proven that one of the most fundamental and philosophical questions
humans ponder has finally been solved – there is an afterlife. No longer
is it the fact that humans are only carbon-based vessels of flesh. No
longer is it the fact that humans inhabit the earth for a minute period
only to depart life and waste away among the sands of time. There is
more to life than the eye can see and the mind can comprehend.
Dr. Robert Lanza is the person to whom the gratitude is owed for this
discovery. He is both Chief Scientific Officer of Advanced Cell
Technology and Adjunct Professor at the Institute for Regenerative
Medicine at the Wake Forest University School of Medicine. If any title
is in need of an abbreviation, his would certainly warrant an acronym.
Lanza states that scientists have hitherto thought of life as, “the
activity of carbon in an admixture of molecules.” He argues that the
notion of consciousness plays a fundamental role in the creation of the
universe and all therein. Lanza explains that science considers time and
space as physical entities which develops an incorrect understanding
for creation and continuing life of the universe.
Physicists have promulgated the understanding that space and time are
linear functions. When explained through string theory or, “M theory,”
in a 16 dimensional universe there are Planck length points at the one
dimensional level called strings or membranes. To get from point to
another is going from point A to point B which constitutes a linear
function of quantum travel. However, Lanza’s biocentric theories creates
a novel methodology which argues that these constraints of the physical
world are nothing more than paradigms of our consciousness.
Biocentrism is a cosmological argument
that biology created the universe. In this sense, consciousness acts as
what Saint Thomas Aquinas called, the first mover, unmoved. Furthermore,
Lanza’s hypothesis stems from French philosopher Rene Descartes who
created the idea of dualism – the ontological argument of a body that
incorporates a mind or consciousness to create a life. In Lanza’s
understanding, consciousness created the universe – the afterlife being
supported by Lanza’s theory on consciousness through quantum physics.
While this has mainly seemed as a philosophical mind experiment,
Lanza can physically prove this metaphysical notion. He used the famous
double-slit experiment as an example. He states that when observed,
particles will travel through one of the slits like a bullet, parallel
to modern physics. However, when someone is not actively watching the
experiment, particles travel through both slits at the same time.
The experiment shows that matter has
the characteristic of light at the quantum level. When moving through a
double slit, particles take on properties of light in wavelengths at the
obstacle. The particle then shifts into a quantum superposition and
travels through both slits at the same time. Such a quantum phenomenon
shows that elements are not what they seem to be and can change based on
a person’s perception.
Although Lanza’s experiment warrants a proven hypothesis, an
existential argument can be made. If a big bang happens in an
ever-expanding vacuum and there are no life forms around to hear it, did
it happen?
Lanza states that there is more to the theory than can be
perceived. The problem is, however, there do not seem to be lines
of communication to entities in the afterlife. Though, Lanza’s theory
can prove that life can transcend the linear construct upon which our
understanding of the universe is based. When people cease to exist their
essence surpasses the boundaries of the physical world into an
inescapable multiverse.
Reception of Lanza’s monumental theory has been mixed across the
board. Nevertheless, while some may believe it is a foolhardy notion,
Galileo’s denouncement of a geocentric solar system was granted heresy
by the Catholic Church centuries ago.
More on this vast cosmological theory and how quantum physics can prove the existence of an afterlife can be found in his book Biocentrism: How Life and Consciousness are the Keys to Understanding the True Nature of the Universe.
By Alex Lemieux
Sources:
Travelers Today
Daily Mail UK
CNET
http://guardianlv.com
Please browse this webaddress:
http://www.afterlifetv.com/
Travelers Today
Daily Mail UK
CNET
http://guardianlv.com
Please browse this webaddress:
http://www.afterlifetv.com/
Monday, September 8, 2014
আখেরাতের আলোচনা - অধ্যাপক মুফিজুর রহমান - ২৩ আগষ্ট ২০১৪ ইং
Saturday, September 6, 2014
Thursday, September 4, 2014
পরকালের জীবনের প্রমান কি? আলোচনায়: ডাঃ জাকির নায়েক
পরকালের জীবনের প্রমান কি?
আলোচনায়: ডাঃ জাকির নায়েক
আলোচনায়: ডাঃ জাকির নায়েক
ক. পরকালে আস্থা অন্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত নয়
অনেকেই আশ্চর্য
হয়ে যান, বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসম্মত প্রকৃতির কোনো মানুষ কিভাবে পরকাল বা
মৃত্যুর পরে আর একটি জীবনের ওপরে আস্থা রাখতে পারে? তারা ধারণা করে যে,
যারা পরকালে আস্থাশীল তাদের যে আস্থা, তা একটি অন্ধ বিশ্বাসের উপর
প্রতিষ্ঠিত।
পরকালে আমার আস্থা সঙ্গত যুক্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খ. ‘পরকাল’ একটি যৌক্তিক বিশ্বাস
বৈজ্ঞানিক বিষয়াদি নিয়ে জ্যোতির্ময় কুরআন অন্তত হাজারের ওপরে আয়াত ধারণ
করে আছে (এ প্রসঙ্গে আমার বইটি “কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান সুসঙ্গত অথবা
অসঙ্গত” দেখা যেতে পারে)। বিগত কয়েক শতাব্দীতে কুরআন বর্ণিত বিজ্ঞানের
অসংখ্য বিষয় সত্য বলে প্রমানিত হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান এখনও সে পর্যায়ে
গিয়ে পৌছায়নি যাতে কুরআনে বর্ণিত প্রতিটি বিষয়কে সত্য বলে প্রমান করতে
পারে।
কুরআন বর্ণিত বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সমূহের ৮০% ইতিমধ্যে শতকরা একশ
ভাগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে! বাকি থাকলো মাত্র ২০% ভাগ। এই ২০% ভাগ
সম্পর্কে বিজ্ঞানের কাছে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। যেখানে বিজ্ঞানই এখন
পর্যন্ত সে পর্যায়ে পৌছাতে পারেনি যাতে কুরআনের এসব বর্ণনাকে সত্য বা
মিথ্যা বলে প্রমাণ করতে পারে, সেখানে সীমাবদ্ধ জ্ঞান নিয়ে আমরা নিশ্চিত করে
ঐ ২০% ভাগ অনুদঘাটিত বৈজ্ঞানিক বিষয় সম্পর্কিত কুরআনের একটি আয়াতও ভুল
একথা কোনভাবেই বলতে পারিনা।
তাই কুরআনের ৮০% ভাগ যেখানে চূড়ান্তভাবে সত্য বলে প্রমাণিত এবং বাকি ২০%
ভাগ শুধু প্রমাণের অপেক্ষায়। সেখানে যৌক্তিকতা এটাই বলবে যে, ঐ ২০% ভাগও
বিজ্ঞান যখন আরও উৎকর্ষতা লাভ করবে তখন অবশ্যই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।
কুরআনে বর্নিত পরকালীন স্থায়ী জীবনের বিষয়টি ঐ ২০% ভাগের অন্তর্ভূক্ত,
অনুদ্ঘাটিত একটি সত্য। যৌক্তিকতা এখানে তার সত্যতার দিকেই মত দেবে।
গ. ‘পরকাল দর্শণ’ ছাড়া শাস্তি ও মানবীক মূল্যবোধসমূহ সম্পূর্ণ অর্থহীন
ডাকাতি করা ভাল না মন্দ কাজ? ভারসাম্যপূর্ণ সাধারন একজন মানুষও বলবেন, এটা
জঘন্য কাজ্ পরকালের ভালো-মন্দ যে বিশ্বাস করে না সে কেমন করে একজন
শক্তিশালী ও প্রভাবশালী অপরাধীকে বোঝাবে যে, ডাকাতি একটি জঘন্য অপরাধ?
ধরা যাক, পৃথিবীতে আমি একজন শক্তিশালী অপরাধী , একই সাথে আমি একজন
বুদ্ধিমান ও যুক্তি পরায়ন মানুষ। আমি বলব ডাকাতি একটি ভালো কাজ কেননা এটা
আমাকে বিলাস বহুল জীবন যাপন করার সহায়তা করছে- তাই ডাকাতি আমার জন্য ভালো।
যদি কেউ আমার সামনে উপযুক্ত একটি যুক্তিও দাঁড় করিয়ে দেখাতে পারে যে,
ডাকাতি আমার জন্য মন্দ কেন? তাহলে সাথে সাথে একাজ আমি ছেড়ে দেব। মানুষ
সাধারণত যে সব যুক্তি সামনে রাখে।
১.কেউ হয়তো বলবে যার সর্বস্ব ডাকাতি হয়ে গেছে সে সে সমস্যায় পড়বে
আমি অবশ্যই তারা সাথে একমত যে, যার ওপর ডাকাতি চালানো হয়েছে তার জন্য এটা
মন্দ। কিন্তু এটা আমার জন্য তো ভালো। আমি যদি হাজার ডলার ডাকাতি করে থাকি
তাহলে অত্যন্ত আনন্দের সাথে কোনো পাঁচতারা হোটেলে দু’চারবেলা খাবার খেতে
পারবো।
২.তোমার ওপরেও কেউ ডাকতি চালাতে পারে
কেউ হয়তো বলবেন একদিন
আমার সর্বস্বও ডাকাতি হয়ে যেতে পারে। আমার কাছে থেকে কেউ কিছু কেড়ে নিতে
পারবে না। কারন আমি নিজেই অনেক শক্তিশলী। অন্তত শ’খানেক বডিগার্ড আছে আমার ।
ডাকাতি আমি করি আমার ঘরে কে ডাকাতি করবে?
একজন সাধারণ মানুষের জন্য ডাকাতি একটা ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হতে পারে কিন্তু আমার মতো প্রভাবশালী মানুষের জন্য নয়।
৩.পুলিশ তোমাকে গ্রেফতার করতে পারে
কেউ হয়তো বলবেন পুলিশ তোমাকে একদিন ধরে ফেলবে। পুলিশ আমাকে ধরবে না। কারণ
পুলিশকে আমি রীতিমতো টাকা দেই। এমনকি শক্তিশালী এক মন্ত্রীকেও আমি বড় বড়
চাঁদা দেই। হাঁ এ ব্যাপারে আমি একমত যে, একজন সাধারন মানুষ ডাকাতি করলে সে
ধরা পড়ে যেতে পারে এবং তার জন্য সে অবস্থা অত্যন্ত ভয়ংকর হয়ে যাবে। কিন্তু
আমার তো এধরণের কোনো ভয়ই নেই। ধরা পড়লেও সাথে সাথে আমি মুক্ত হয়ে যাবে এ
গ্যারান্টি আমার আছে।
যুত্তিপূর্ন একটা কারণ কেউ আমাকে দেখাক-কেন এটা আমার জন্য মন্দ এবং কেনই বা এ পেশা আমি ছেড়ে দেব।
৪.কেউ হয়তো বলবেন এটা ফাঁকা পয়সা, কষ্টার্জিত নয়
আমি তার সাথে সম্পুর্ন একমত- এটা খুব সহজে উপার্জিত টাকা। মূলত এটাই তো
আসল কারণ যে জন্য আমে ডাকাতি করি। যদি কোনো মানুষের সামনে উপার্জনের দু’টো
পথ খোলা থাকে-একটা সহজ আর একটা কঠিন-বুদ্ধিমান যে কোনো মানুষ সহজ পথটাকেই
তো বেছে নেবে।
৫. এটা মানবতা বিরোধী
কেউ হয়তো বলবেন এটা মানবতা বিরোধী মানুষের জন্য মানুষের ভাবা উচিৎ। আমি
তাদের কাছে পাল্টা প্রশ্ন করব। মানবতার এ বিধান কে লিখেছে? কেন আমি তা
মানতে যাব? এ আইন হতে পারে আবেগ প্রবন অনুভুতিশীল মানুষের জন্য ভালো।
কিন্তু আমি সঙ্গত যুক্তি ছাড়া কিছুই মানতে রাজি না- মানুষের ভাবনা আমি
ভাবতে যাবো কোন দুঃখে?
৬. এটা চরম স্বার্থপরতা
কেউ হয়তো বলবেন
ডাকাতি একটি চরম স্বার্থপরতা। হাঁ একথা মানি, ডাকাতি একটা স্বার্থপর কাজ ।
তাহলে আমি কি আমার স্বার্থ দেখব না? এটাতো আমাকে আমার জীবন ভোগের উপায় করে
দিয়েছে!
১.যুক্তি দিয়ে ডাকাতিকে মন্দ প্রমাণ করা যাবে না
অতঃপর
ডাকাতিকে মন্দ কাজ হিসেবে প্রমাণ করার সকল যুক্তি উপস্থাপন ব্যর্থ ও
অকার্যকর প্রমানিত হলো। এসব যুক্তির কথা একজন সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট করতে
পারে কিন্তু আমার মতো একজন সবল প্রভাবশালী অপরাধীকে নয়। কোনো বিতর্কই
শুধুমাত্র যুত্তির ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেনা। কাজেই পৃথিবী জুড়ে
অসংখ্য অপরাধীর জয়জয়কারে অবাক হবারও কিছু নেই।
একইভাবে প্রতারণা,
নারীধর্ষণ ইত্যাদি আমার মতো ব্যক্তির জন্য ভালো হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং
যৌক্তিতার দিক দিয়ে এমন কোনো কারণ নেই যা আমাকে বোঝাতে পারে যে, এসব কাজ
মন্দ।
২. একজন শক্তিধর প্রভাবশালী অপারাধীকেএকজন মুসলিম বুঝিয়ে নমনীয় করতে পারে
এবার একটু অন্যভাবে দেখা যাক। ধরুন আপনি এ পৃথিবীর একজন শক্তিশালী
প্রভাবশালী অপরাধী। পুলিশ আপনার বগল তলে। এমনকি দু’চারজন মন্ত্র-মিনিষ্টারও
হাতের মুঠোয়। বহু চেলা চামুন্ডা রয়েছে আপনাকে পাহারা দেবার জন্য আর আমি
একজন মুসলিম যে আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হবো- ডাকাতি ধর্ষণ, প্রতারণা ইত্যাদি
জঘন্য কাজ।
এখন আমি যদি একই যুক্তিতর্ক তার সামনে রাখি একইভাবে সে
উত্তর দেবে যেমনটা আগে সে দিয়েছে। একথা সত্যি যে, অপরাধী অত্যন্ত
যুক্তিবাদীএবং তার সকল যুক্তি সঠিক। কিন্তু তা কেবল কতখানি সত্য ও সঠিক যখন
সে একজন শক্তি ও প্রভাবশালী অপরাধী।
৩. প্রতিটি মানুষ ন্যায় ও সুবিচারের আকাঙ্ক্ষি
এমনকি এ সুবিচার যদি সে অপরের জন্য না চায়-নিজের জন্য তা অবশ্যই আশা করে।
শক্তি ও প্রভাবের কারণে অনেকে নেশা করে আর অন্যদের দুঃখ কষ্টের কারণ হয়। এই
একই মানুষ ফোঁস করে উঠবে যদি তাদের প্রতি কোনো অবিচার হয়। এধরনের মানুষের
অণ্যের দুঃখ-কষ্টের প্রতি কোনো অনুভূতি না থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ও
প্রভাবের পূজা করে। এই ক্ষমতা ও প্রভাবের জন্য তারা যে শুধু অন্যের ওপরে
অবিচার করতে পারছে তা-ই নয় বরং অন্যে যাতে তাদের প্রতি এই একই আচারণ না
করতে পারে তার প্রতিরোধও করছে।
৪. আল্লাহ মহাশক্তিমান এবং ন্যায়পরায়ণ
একজন মুসলমান হিসেবে আমি অপরাধিকে আল্লাহর অস্তিত্ত্ব সম্পর্কে সম্মত করাব
যে, এই আল্লাহ তোমার চাইতে অনেক অনেক বেশি শক্তির অধিকারী এবং একই সাথে
তিনি ন্যায়পরায়ণও। জ্যেতির্ময় কুরআণ বলছেঃ
নিশ্চয়ই আল্লাহ অবিচার করেন না (কারো প্রতি) বিন্দু পরিমাণ।
৫. আল্লাহ আমাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন না?
অপরাধী, যুক্তিবাদী এবং বিজ্ঞান মনস্ক হবার কারণে কুরআনের বিজ্ঞান ও
উত্তমতম ও যুক্তিসঙ্গত দলিল প্রমাণ উপস্থাপনের পরে আল্লাহর অস্তিত্ত্বের
ব্যাপারে তার কোন আপত্তি থাকল না। এখন সে হয়তো প্রমাণ করে বসবে যে, আল্লাহ
শক্তিমান এবং সুবিচারক হওয়া সত্ত্বেও তাকে কেন শাস্তি দিচ্ছেন না।
৬. যারা অবিচার করে তাদের শাস্তি হওয়া দরকার
প্রতিটি মানুষ, যে কোনো অবিচারের শিকার হয়েছে- তা আর্থিক দিক থেকেই হোক
অথবা সামাজিক দিক থেকে- ভূক্তভোগী প্রতিটি মানুষ চাইবে জালিমের শাস্তি হোক।
প্রতিটি সাধারণ মানুষের আন্তরিক কামনা, ডাকাত-ধর্ষককে উচিত শিক্ষা দেয়া
হোক। যদিও অসংখ্য অপরাধি ধরাও পড়ছে, শাস্তিও পাচ্ছে কিন্তু তার চাইতে আরো
অনেক বেশি পরিমাণ মুক্ত থেকে সমাজে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নিজের
ফূর্তিময় বিলাসপূর্ন জীবন যাপন করছে। যদি শক্তিশালী ও প্রভাবশালী কোনো
ব্যক্তির ওপর অবিচার আপতিত হয় এমন একজনের দ্বারা যে তার চাইতেও বেশি
শক্তিধর। তখন এই অপরাধিও চাইবে যে, তার প্রতি অবিচারকারীর চরম শাস্তি হোক।
৭. এই জীবন পরকালীন স্থায়ী জীবনের জন্য পরীক্ষার অবকাশ মাত্র
পরকালের অনন্ত জীবনে কৃতকার্যতার সাথে প্রবেশের ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য জীবনটা একটা পরীক্ষা। জ্যোতির্ময় কুরআন বলছেঃ
যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, যেন তিনি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন
কাজে-কর্মে তোমাদের মধ্যে কে সর্বোত্তম। তিনি তো মহাশক্তিমান ক্ষমা
দানকারী। (সূরা আল-মুলকঃ২)
৮. চূড়ান্ত ফয়সালা শেষ বিচার দিনে
প্রতিটি প্রানকেই মৃত্যুর যাতনা ভোগ করতে হবে এবং অবশ্যই পুরোপুরি ভাবে
বুঝিয়ে দেয়া হবে তাদের পাওনা কেয়ামতের দিন। তখন যে রক্ষা পেলো আগুন থেকে
এবং প্রবেশ করতে দেয়া হলো জান্নাতে নিশ্চিতভাবে সে-ই লাভ করলো চূড়ান্ত
সফলতা। আর কিছুই নয় এই পৃথিবীর জীবন, শুধু (ক্ষনিকের ) মায়া ও মোহময় আয়োজন।
(সূরা আল ইমরানঃ১৮৫)
ভালো মন্দের সবকিছু পরিমাপ করে দেখানো হবে শেষ
বিচার দিনে। একজন মানুষের মৃত্যুর পরে তাকে পুনরায় জীবিত করা হবে সর্বকালের
সকল মানুষের সাথে শেষ বিচার দিনে। এটা খুবই সম্ভব যে, একজন মানুষ তার
প্রাপ্য শাস্তির কিছু অংশ এই পৃথিবীতে পেলো। আর চূড়ান্ত শাস্তি অথবা
পুরস্কার সে পাবে পরকালে। বিধাতা প্রতিপালক একজন ডাকাত বা একজন ধর্ষককে
পৃথিবীতেই কোনো শাস্তি নাও দিতে পারেন, কিন্তু শেষ বিচার দিনে তাকে অবশ্যই
সব কৃতকার্যের হিসেব দিতে হবে এবং সেই স্থায়ী পরকালে তাকে শাস্তি ভোগ করতে
হবে। অর্থাৎ মৃত্যুর পরে যে জীবন সেই জীবনে।
৯. মানুষের আইন হিটলারকে কি শাস্তি দিতে পারে?
হিটলার তার ভয়ঙ্কর ত্রাসের শাসনামলে ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পুড়িয়ে মেরেছে। এখন
পুলিশ যদি তাকে গ্রেফতার করতো তাহলে মানুষের আইন ন্যায়সঙ্গত ভাবে তাকে কি
শাস্তি দিত? সর্বোচ্চ শাস্তি তারা তাকে যা দিতে পারত তাহলো সেই গ্যাস
চেম্বারে খোদ হিটলারকে ঢুকিয়ে দিতে পারত। কিন্তু তাতে তো শুধুমাত্র একজন
ইহুদী হত্যার প্রতিশোধ হতো! বাকি যে ৫৯ লক্ষ ৯৯হাজার ৯শ ৯৯জন ইহুদী -তাদের
হত্যার প্রতিশোধ কিভাবে হবে?
১০. শুধুমাত্র আল্লাহ পারেন হিটলারকে জাহান্নামে ফেলে ষাটলক্ষ বারের চাইতেও বেশি বার জ্বালাতে
জ্যোতর্ময় কুরআনে আল্লাহ বলেছেনঃ
যারা আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করেছে খুব শিঘ্রই আমরা তাদেরকে আগুনে
নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়া যখন পুড়ে গলে যাবে তখন তার বদলে আমরা তাদেরকে
নতুন চামড়া দিয়ে দিব যেন তারা আযাবের স্বাদ বুঝতে পারে। নিঃসন্দেহে আল্লাহ
মহা শক্তিমান মহাজ্ঞানী। (৪:৫৬)
পরকালের অনন্ত জীবনে হিটলারকে একমাত্র আল্লাহই পারেন ষাট লক্ষ বার পুড়ে মরার স্বাদ কেমন তা বুঝিয়ে দিতে।
১১. মানবীয় মূল্যবোধ অথবা ভালো ও মন্দের ধারনা পরকালের নিশ্চিত আস্থা ছাড়া আদৌ কোনো মূল্য রাখে না।
যুক্তির কষ্টিপাথরে যাচাই করা সত্য এই যে, পরকালে যার দৃঢ় আস্থা নেই,
মানবীয় মূল্যবোধ এবং ভালো ও মন্দ কাজের পরিণতি এমন ব্যাক্তির কাছে প্রমাণ
করা সম্পূর্ন অসম্ভব-এখানে যে অবিচার , জুলুম অত্যাচার করেই যাচ্ছে। বিশেষ
করে যদি সে ক্ষমতাবান হয়।
Subscribe to:
Posts (Atom)